নমস্কার বন্ধুরা আপনাদের কাছে শিক্ষক দিবসের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা তুলে ধরব তো চলুন তাহলে দেরি না করে চালু করা যাক ।
বক্তব্য
> নমস্কার আজ ৫ এ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমার প্রিয় শিক্ষক - শিক্ষিকা মহাশয় - মহাশয়া ও বাবা মা সকল অতিথিবৃন্দকে শ্রদ্ধেয় পূর্বক প্রণাম জানাই এছাড়া আমার স্নেহ সহপাঠী ভাই বোন ও দিদি সকলকে আন্তরিকভাবে ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে
দুই - একটি কথা উপস্থাপন করছি।
✓ আমরা আমাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে জীবন পাই কিন্তু সেই জীবন কিভাবে কাটাতে হয় তা শিক্ষকদের চেয়ে ভালো আর কেউ বলতে পারেন না । পিতা মাতার পরে আমাদের সাফল্য গুরুত্বপূর্ণ কৃতিত্ব আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের । শিক্ষক বা শিক্ষিকা হলেন আমাদের জীবনের প্রদীপ । যারা নিজে কঠোর থেকে কঠোর পরিশ্রম করে আমাদের পরিবেশে অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর করে আলোয় ভরিয়ে তোলেন।
✓ একজন সফল মানুষের পেছনে শিক্ষকের যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে, তা নতুন করে বলার কিছু নেই। শিক্ষক মহাশয় শুধু যে শিক্ষাদানই করেন তাই নয়। তিনি একজন শিক্ষার্থীকে জীবনে চলার পথে পরামর্শ দেন, ব্যর্থতায় পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দেন, সাফল্যের দিনে নতুন লক্ষ্য স্থির করে একজন আদৰ্শ মানুষ হওয়ার শিক্ষা দান করেন ।
✓ তেমনি আজকের এই বিশেষ দিনটির তাৎপর্য খুঁজতে গিয়ে জানা যায় যে,একজন আদর্শ শিক্ষক ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ ৫ই সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮ তামিলনাড়ুর তিরুট্টানিতে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি । তিনি একাধারে রাজনীতিবিদ,দার্শনিক ও অধ্যাপক তিনি ছাত্রজীবনে অতি মেধাবী ছিলেন।
✓
তাই আজ একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ তথা ভারতের দেখা স্বপ্নগুলো বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে শিক্ষক মহাশয় সদাসর্বদা আমাদের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবে, পথপ্রদর্শক ও নির্দেশনা দান করার মাধ্যমে রাষ্ট্রকে সর্বাগ্রে নিয়ে যাওয়া সম্ভব করবে।
এই সময় আমাদের সর্বদা করণীয় হবে শিক্ষক তথা গুরুজনদের শ্রদ্ধা জানানো, একে অন্যের সাহায্য করা অর্থাৎ সবাই মিলে চেষ্টা করে নব আঙ্গিকের পথে এগিয়ে চলা।
শিক্ষক দিবস কেন পালন করা হয় ..?
✓ এই বিশেষ দিনে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা নিজের গুরুকে সম্মান বা শ্রদ্ধা জানাতে চান । শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে এই দিনটি পালন করা হয়। যদিও ইন্টারন্যাশনাল টিচার্স ডে ৫ এ সেপ্টেম্বর তবে ৫ এ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত করা হয়। ১৯৯৪ সালে ইউনেস্কো ঘোষণা করেছিলেন যে ৫ এ সেপ্টেম্বর দিবস পালন করা হবে ।
✓আমরা সবাই জানি ৫ সেপ্টেম্বর ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণ জন্মদিন । ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি বিদ্যার দার্শনিক ও ভারতরত্ন পুরস্কার ভূষিত
ডাঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণের জন্মদিন শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয় । ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণের জন্ম ১৮৮৮ সালে ৫ই সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর তির মনিতে ।
✓আসলে ১৯৬২ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন ডাঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণ । ৫ ই সেপ্টেম্বর দিনটিতে তিনি নিজের কার্যালয়ে পৌঁছেছিলেন প্রথমবার সেখানে তার কিছু ছাত্র ও বন্ধু উপস্থিত ছিলেন । সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণ অফিসে পৌঁছানো মাত্রই তারা সেলেব্রেট করবে বলেই তারা ঠিক করে রেখেছিলেন । কিন্তু সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণ এইগুলো পছন্দ করতেন না । তবে তিনি ছাত্রদের এই কথা বলেন যে এই দিনটিকে একটু বিশেষ দিন হিসেবে রাখতে তারা যাতে অন্য উদ্যোগ নেই।
✓তবে তিনি ছাত্রদের এই বলেন যে এই ৫ অক্টোবর দিনটিকে দেশের শিক্ষকদের জন্য উৎসর্গ করা হোক সেই দিন থেকেই ৫ এ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।।
বক্তৃতা
“যদি কোন দেশ দুর্নীতিমুক্ত হয় এবং সবার মধ্যে সুন্দর মনের মানসিকতা গড়ে ওঠে, আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করি, সেখানকার সামাজিক জীবনে তিন রকম মানুষ থাকবে; যারা পরিবর্তন আনতে পারেন। তারা হলেন পিতা, মাতা ও শিক্ষক।”
- ড.এ.পি.জে. আব্দুল কালাম
কবিতা:-
" মায়ের কাছে শিশুর শিক্ষা
জন্ম থেকেই শুরু
মায়ের পরে শিক্ষক হলেন
অন্যতম গুরু "
উপসংহার :-
সবশেষে এই বলবো যে শিক্ষক দিবস সম্পর্কে যত কথা বলো তা কম হয়ে যায় তাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সভ্যগণকে আরো একবার শ্রদ্ধাপূর্বক প্রনাম জানাই এবং বন্ধু-বান্ধব সহপাঠীবৃন্দ তথা সমগ্র দেশের সাহায্যকারী সকলকে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ক্ষুদ্র বক্তব্য এখানেই শেষ করলাম।